Dhaka ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ফার্মাসিস্টের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ

উজ্জ্বল কুমার সরকার জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ
  • আপডেট ০২:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • / ৬৫ বার পঠিত হয়েছে

নওগাঁর মান্দা উপজেলার ছোটমুল্লুক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চরম দায়িত্বহীনতার অভিযোগ উঠেছে ফার্মাসিস্ট গোলাম রাব্বানী রুবেলের বিরুদ্ধে।

নিয়মিত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা ও সময়মতো না আসায় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষ। এলাকায় তিনি রুবেল ডাক্তার নামেই পরিচিতি।

আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সিংগা গ্রামের এবাদত আলী প্রামানিক ও তাঁর স্ত্রী শরীফা বেগম চর্মরোগের চিকিৎসা নিতে ছোটমুল্লুক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন। এই দম্পত্তি বলেন, ‘কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সেবা নিতে এসেছি। ঘন্টাখানেক হয়ে গেল, কেউ আসে না।

আমরা তো গরিব মানুষ, শহরে যেতে পারি না। এইখানে আসছি, তাও যদি চিকিৎসা না পাই তাহলে কোথায় যাব?’
একই সময় সাবাই এলাকার বাসিন্দা রুমালি বেগম মাথাব্যথা ও আবু বাক্কার পেটের সমস্যা নিয়ে সেবা নিতে আসেন এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। কিন্তু ডাক্তার কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীর দেখা মেলেনি। এতে তারা হতাশ হয়ে পড়েন।

রোগী রুমালি বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মাথা ধরেছে অনেকক্ষণ। কিন্তু এখানে কেউ নেই। বারবার এমন হয়। ডাক্তাররাই যদি না থাকে, তাহলে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র দিয়ে লাভ কী?’

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর গোলাম রাব্বানী রুবেল ছোটমুল্লুক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফার্মাসিস্ট হিসেবে যোগ দেন। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তিনি একই কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন।

তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারি নিয়ম মেনে সকাল ৯টার মধ্যে তিনি কর্মস্থলে উপস্থিত হন না। কোনো দিন ১১টা, কোনো দিন দুপুর ১২টার দিকে আসেন। আবার অনেক দিন একেবারেই হাজিরা দেন না।

দ্রুত সময়ের মধ্যে ফার্মাসিস্ট রুবেল হোসেনের অনিয়মের তদন্তসহ শাস্তির দাবি করেন তারা। স্থানীয় বাসিন্দা সুশীল চন্দ্র প্রামানিক বলেন, ‘রুবেল সাহেবের আসা যাওয়ার কোনো ঠিকঠিকানা নেই। ইচ্ছামতো আসেন, আবার চলেও যান।

আমরা প্রতিবাদ করলে উল্টো উঁচু গলায় কথা বলেন। এটা কি সরকারি চাকরি করার নিয়ম?’
এ প্রসঙ্গে জানতে ফার্মাসিস্ট গোলাম রাব্বানী রুবেলের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন,
এ ব্যাপারে আগে জানা ছিল না। আজ বিষয়টি জানতে পেরেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত

পোস্টটি শেয়ার করুন

নওগাঁয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ফার্মাসিস্টের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ

আপডেট ০২:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

নওগাঁর মান্দা উপজেলার ছোটমুল্লুক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চরম দায়িত্বহীনতার অভিযোগ উঠেছে ফার্মাসিস্ট গোলাম রাব্বানী রুবেলের বিরুদ্ধে।

নিয়মিত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা ও সময়মতো না আসায় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষ। এলাকায় তিনি রুবেল ডাক্তার নামেই পরিচিতি।

আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সিংগা গ্রামের এবাদত আলী প্রামানিক ও তাঁর স্ত্রী শরীফা বেগম চর্মরোগের চিকিৎসা নিতে ছোটমুল্লুক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন। এই দম্পত্তি বলেন, ‘কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সেবা নিতে এসেছি। ঘন্টাখানেক হয়ে গেল, কেউ আসে না।

আমরা তো গরিব মানুষ, শহরে যেতে পারি না। এইখানে আসছি, তাও যদি চিকিৎসা না পাই তাহলে কোথায় যাব?’
একই সময় সাবাই এলাকার বাসিন্দা রুমালি বেগম মাথাব্যথা ও আবু বাক্কার পেটের সমস্যা নিয়ে সেবা নিতে আসেন এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। কিন্তু ডাক্তার কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীর দেখা মেলেনি। এতে তারা হতাশ হয়ে পড়েন।

রোগী রুমালি বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মাথা ধরেছে অনেকক্ষণ। কিন্তু এখানে কেউ নেই। বারবার এমন হয়। ডাক্তাররাই যদি না থাকে, তাহলে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র দিয়ে লাভ কী?’

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর গোলাম রাব্বানী রুবেল ছোটমুল্লুক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফার্মাসিস্ট হিসেবে যোগ দেন। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তিনি একই কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন।

তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারি নিয়ম মেনে সকাল ৯টার মধ্যে তিনি কর্মস্থলে উপস্থিত হন না। কোনো দিন ১১টা, কোনো দিন দুপুর ১২টার দিকে আসেন। আবার অনেক দিন একেবারেই হাজিরা দেন না।

দ্রুত সময়ের মধ্যে ফার্মাসিস্ট রুবেল হোসেনের অনিয়মের তদন্তসহ শাস্তির দাবি করেন তারা। স্থানীয় বাসিন্দা সুশীল চন্দ্র প্রামানিক বলেন, ‘রুবেল সাহেবের আসা যাওয়ার কোনো ঠিকঠিকানা নেই। ইচ্ছামতো আসেন, আবার চলেও যান।

আমরা প্রতিবাদ করলে উল্টো উঁচু গলায় কথা বলেন। এটা কি সরকারি চাকরি করার নিয়ম?’
এ প্রসঙ্গে জানতে ফার্মাসিস্ট গোলাম রাব্বানী রুবেলের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন,
এ ব্যাপারে আগে জানা ছিল না। আজ বিষয়টি জানতে পেরেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।