Dhaka ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জেনিভা প্রিয়ানা বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট ১২:৪১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • / ৪২ বার পঠিত হয়েছে

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনার সাবেক সিটি মেয়র সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনার সহকারী পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

দুদকের অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, আসামি তালুকদার আব্দুল খালেক (৭৩) জাতীয় পরিচয়পত্র নং: ৪২২৪২৪৯৮০০, স্থায়ী ঠিকানা: মল্লিকের বেড়, রামপাল, বাগেরহাট। বর্তমান ঠিকানা ৩৩,মুন্সীপাড়া ৩য় গলি, খুলনা সদর, খুলনা।খুলনার সাবেক মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ১৫ কোটি ৭৭ লাখ ১৪ হাজার ৮০১ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা গোপন রেখেছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

মামলার বিবরণ:
দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুসন্ধান ও তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসামি ও তার স্ত্রীর নামে অর্জিত সম্পদের বিবরণ নিম্নরূপ:

আসামির স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ: ৯,৮৭,৪৯,৯৮৮ টাকা

অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ: ৫,৮৯,৬৪,৮১৩ টাকা
মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায়: ১৫,৭৭,১৪,৮০১ টাকা

এছাড়া অনুসন্ধানে উঠে আসে, বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সঞ্চয়পত্র, জমি, ফ্ল্যাট ও অন্যান্য সম্পদ হিসেব করলে আসামি ও তার স্ত্রীর প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ প্রকৃত আয়ের তুলনায় অনেক বেশি। এতে প্রমাণিত হয়, সম্পদ অর্জনে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে।

দুদকের মন্তব্য:
দুদক কর্মকর্তারা জানান, তালুকদার আব্দুল খালেক জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা গোপন করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত প্রমাণ ও তথ্যের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া:
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, “আইন অনুযায়ী যথাযথ তদন্ত শেষে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রমাণ সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

প্রাসঙ্গিক তথ্য:
উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারা অনুযায়ী মিথ্যা সম্পদ বিবরণী প্রদান এবং ২৭(১) ধারা অনুযায়ী জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগ দণ্ডনীয় অপরাধ। এই আইনের আওতায় দেশের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত

পোস্টটি শেয়ার করুন

সাবেক খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট ১২:৪১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনার সাবেক সিটি মেয়র সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনার সহকারী পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

দুদকের অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, আসামি তালুকদার আব্দুল খালেক (৭৩) জাতীয় পরিচয়পত্র নং: ৪২২৪২৪৯৮০০, স্থায়ী ঠিকানা: মল্লিকের বেড়, রামপাল, বাগেরহাট। বর্তমান ঠিকানা ৩৩,মুন্সীপাড়া ৩য় গলি, খুলনা সদর, খুলনা।খুলনার সাবেক মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ১৫ কোটি ৭৭ লাখ ১৪ হাজার ৮০১ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা গোপন রেখেছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

মামলার বিবরণ:
দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুসন্ধান ও তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসামি ও তার স্ত্রীর নামে অর্জিত সম্পদের বিবরণ নিম্নরূপ:

আসামির স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ: ৯,৮৭,৪৯,৯৮৮ টাকা

অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ: ৫,৮৯,৬৪,৮১৩ টাকা
মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায়: ১৫,৭৭,১৪,৮০১ টাকা

এছাড়া অনুসন্ধানে উঠে আসে, বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সঞ্চয়পত্র, জমি, ফ্ল্যাট ও অন্যান্য সম্পদ হিসেব করলে আসামি ও তার স্ত্রীর প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ প্রকৃত আয়ের তুলনায় অনেক বেশি। এতে প্রমাণিত হয়, সম্পদ অর্জনে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে।

দুদকের মন্তব্য:
দুদক কর্মকর্তারা জানান, তালুকদার আব্দুল খালেক জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা গোপন করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত প্রমাণ ও তথ্যের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া:
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, “আইন অনুযায়ী যথাযথ তদন্ত শেষে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রমাণ সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

প্রাসঙ্গিক তথ্য:
উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারা অনুযায়ী মিথ্যা সম্পদ বিবরণী প্রদান এবং ২৭(১) ধারা অনুযায়ী জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগ দণ্ডনীয় অপরাধ। এই আইনের আওতায় দেশের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।