Dhaka ০৬:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরিয়াভিত্তিক মাইক্রোক্রেডিট ঋণ চালুর দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ

Reporter Name
  • আপডেট ০৪:৪৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫
  • / ৪১ বার পঠিত হয়েছে

বাংলাদেশে ইসলামী শরিয়াভিত্তিক মাইক্রোক্রেডিট ঋণ চালুর দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে অর্থসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।

নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে দুই ধরনের ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। একটি হলো সুদভিত্তিক কনভেনশনাল ব্যাংকিং এবং অন্যটি হলো শরিয়াভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং।

যদিও ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, কিন্তু মাইক্রোক্রেডিট খাতে এখনো কোনো শরিয়াভিত্তিক ঋণের ব্যবস্থা চালু হয়নি। ফলে দেশের গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠী যারা প্রধানত মাইক্রোক্রেডিট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, তারা বাধ্য হচ্ছেন সুদভিত্তিক ঋণ নিতে যা ইসলামী শরিয়ার পরিপন্থি।

নোটিশে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এবং বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এ অবস্থায় শরিয়াভিত্তিক ঋণের ব্যবস্থা না থাকা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থি।

নোটিশে দাবি করা হয়েছে, ইসলামী শরিয়াভিত্তিক মাইক্রোক্রেডিট ঋণ ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং গ্রামীণ জনগণের জন্য সুদমুক্ত ইসলামি ঋণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের আদলে মুদারাবা, মুশারাকা, মুরাবাহা, কারজে হাসানা ইত্যাদি শরিয়াভিত্তিক মডেল ব্যবহার করা যেতে পারে।

নোটিশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নোটিশ পাওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে ইসলামি শরিয়াভিত্তিক মাইক্রোক্রেডিট ঋণের ব্যবস্থা না করা হলে এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

শরিয়াভিত্তিক মাইক্রোক্রেডিট ঋণ চালুর দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ

আপডেট ০৪:৪৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫

বাংলাদেশে ইসলামী শরিয়াভিত্তিক মাইক্রোক্রেডিট ঋণ চালুর দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে অর্থসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।

নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে দুই ধরনের ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। একটি হলো সুদভিত্তিক কনভেনশনাল ব্যাংকিং এবং অন্যটি হলো শরিয়াভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং।

যদিও ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, কিন্তু মাইক্রোক্রেডিট খাতে এখনো কোনো শরিয়াভিত্তিক ঋণের ব্যবস্থা চালু হয়নি। ফলে দেশের গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠী যারা প্রধানত মাইক্রোক্রেডিট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, তারা বাধ্য হচ্ছেন সুদভিত্তিক ঋণ নিতে যা ইসলামী শরিয়ার পরিপন্থি।

নোটিশে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এবং বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এ অবস্থায় শরিয়াভিত্তিক ঋণের ব্যবস্থা না থাকা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থি।

নোটিশে দাবি করা হয়েছে, ইসলামী শরিয়াভিত্তিক মাইক্রোক্রেডিট ঋণ ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং গ্রামীণ জনগণের জন্য সুদমুক্ত ইসলামি ঋণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের আদলে মুদারাবা, মুশারাকা, মুরাবাহা, কারজে হাসানা ইত্যাদি শরিয়াভিত্তিক মডেল ব্যবহার করা যেতে পারে।

নোটিশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নোটিশ পাওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে ইসলামি শরিয়াভিত্তিক মাইক্রোক্রেডিট ঋণের ব্যবস্থা না করা হলে এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে।