মাগুরায় মুজুরীর ৬শো টাকা চাইতে যেয়ে মালিকের কাছে ধর্ষণের শীকার এক নারী

- আপডেট ০৩:০৩:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
- / ১১৯ বার পঠিত হয়েছে
মাগুরায় মুজুরীর পাওনা টাকা চায়তে যেয়ে ধর্ষণ শীকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এক নারী।মাগুরা মহম্মদপুর বাজারে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে একটি খাবার হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ঐ নারী বলেন,শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে আমি আমার দুই দিনের কাজের পাওনা টাকা ব্যবদ ৬০০টাকা আনতে গেলে,হোটেল মালিক হারুন আমাকে টাকা দেওয়ার কথা বলে দেকানের পিছনে নিয়ে যায়,সেখানে একটি ঘরের মধ্যে সে ঢুকে যায়।আমিও টাকা নেওয়ার জন্য ঐ ঘরের মধ্যে ঢুকলে সে দরজা বন্ধ করে দিয়ে,আমাকে জড়িয়ে ধরে। আমি তার কাছ থেকে ছোটার জন্য চেষ্টা করলে সে আমাকে মারপিট করে,এতে আমার হাতে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লেগে কেঁটে এবং দাগ হয়ে যায়।সে আমাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।ধর্ষণ শেষে সে আমাকে মেরে ফেলার জন্য ঐ ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রাখে।আমি তার হাতে পায়ে ধরে অনেক আকুতি মিনতি,কান্নাকাটি করে,জীবন ভিক্ষা চেয়ে,এটা কাউকে কোনো দিন বলবো না বলে কথা দিলে সে আমাকে ছেড়ে দেয়।হারুনের বাড়ী ধোয়াইল পাচুড়িয়া গ্রামে।ভুক্তভোগী ওই নারী মহম্মদপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে হোটেল মালিক হারুনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,হোটেলে টাকা আনতে গিয়ে ধর্ষণের শীকার ঐ নারী,এ ঘটনা অভিযুক্ত হোটেল মালিক হারুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছেন।আমারা এ বিষয়টি নিয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিবো।এবং অভিযুক্ত হারুনকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান চলছে।