Dhaka ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভয়াবহ কাণ্ড: কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছাদ ধস

মোঃ সামিউল হক সায়িম, স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট ০৪:২১:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • / ৬৬ বার পঠিত হয়েছে

১২ জুলাই, শনিবার দুপুর ২ টায় হঠাৎ করেই জয়পুরহাট জেলাধীন কালাইয়ের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডের
ছাদের একটি বড় অংশের পলেস্তরা খসে পড়ার সময় বিকট শব্দ হয়। এই দুর্ঘটনায় কারো মৃত্যু না হলেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ পুরাতন ভবনের ভৌত অবকাঠামোর অবনতির ফলেই এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। এগুলো প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানা যায়।

হাসপাতালের পরিছন্নতা কর্মীগণ: কল্পনা আখতার, আনোয়ারা বেগম, আশা মাসি জানান, র্দীঘদিন থেকে হাসপাতালে ফাটল দেখা গেছে। তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন।

দুই বছর বয়সী শিশু মারিয়ার মা জীবন নেসা বলেন, ‘আমি আমার মেয়েকে নিয়ে বেডে বসে ছিলাম। হটাৎ করে ৩ নম্বর বেডের উপর ছাদের পলেস্তরা খসে পরে। অল্পের জন্য বেডের রোগীরা বেঁচে যায়। বাকি রোগী ও স্বজনরা দ্রুত ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যায়।

উপজেলার ঝামুটপুর গ্রামের নাসরীন সুলতানা বলেন, ‘আমি উচ্চ রক্তচাপের কারণে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হই। আজ দুপুরে হটাৎ করেই আমার পাশের বেডের ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

কালাইয়ের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. নাহিদ নাজনীন ডেইজি বলেন, ‘আজ হটাৎ করেই মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডের ০৩ নম্বর বেডের ছাদ এর পলেস্তরা খসে পড়ে যায় । ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে অবহিত করেছি। তাঁরা বলেছেন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হবে। এখন ঐ ওয়ার্ডের রোগীদের বাহিরের বারান্দায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

সম্পর্কিত

পোস্টটি শেয়ার করুন

ভয়াবহ কাণ্ড: কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছাদ ধস

আপডেট ০৪:২১:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

১২ জুলাই, শনিবার দুপুর ২ টায় হঠাৎ করেই জয়পুরহাট জেলাধীন কালাইয়ের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডের
ছাদের একটি বড় অংশের পলেস্তরা খসে পড়ার সময় বিকট শব্দ হয়। এই দুর্ঘটনায় কারো মৃত্যু না হলেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ পুরাতন ভবনের ভৌত অবকাঠামোর অবনতির ফলেই এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। এগুলো প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানা যায়।

হাসপাতালের পরিছন্নতা কর্মীগণ: কল্পনা আখতার, আনোয়ারা বেগম, আশা মাসি জানান, র্দীঘদিন থেকে হাসপাতালে ফাটল দেখা গেছে। তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন।

দুই বছর বয়সী শিশু মারিয়ার মা জীবন নেসা বলেন, ‘আমি আমার মেয়েকে নিয়ে বেডে বসে ছিলাম। হটাৎ করে ৩ নম্বর বেডের উপর ছাদের পলেস্তরা খসে পরে। অল্পের জন্য বেডের রোগীরা বেঁচে যায়। বাকি রোগী ও স্বজনরা দ্রুত ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যায়।

উপজেলার ঝামুটপুর গ্রামের নাসরীন সুলতানা বলেন, ‘আমি উচ্চ রক্তচাপের কারণে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হই। আজ দুপুরে হটাৎ করেই আমার পাশের বেডের ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

কালাইয়ের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. নাহিদ নাজনীন ডেইজি বলেন, ‘আজ হটাৎ করেই মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডের ০৩ নম্বর বেডের ছাদ এর পলেস্তরা খসে পড়ে যায় । ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে অবহিত করেছি। তাঁরা বলেছেন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হবে। এখন ঐ ওয়ার্ডের রোগীদের বাহিরের বারান্দায় স্থানান্তর করা হয়েছে।