বগুড়ার র‍্যাবের অভিযানে জেলা সদর থানাধীন মালতীনগর শান্তিবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী মোঃ রকি মিয়াকে (২২) গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল রবিবার ১৩ জুলাই দিবাগত রাত আনুমানিক ২.৫৫ ঘটিকার সমায় র‍্যাব-১২ বগুড়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, গাবতলী থানার করিমপাড়া গ্রামের মোঃ মাহবুব এর মেয়ে মোছাঃ মিম আক্তার(১২)এর ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় ১নং,আসামী মোঃ রকি মিয়া জেলা সদরের মালতীগনর শান্তিবাগে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তি র‍্যাব-১২ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। র‍্যাবের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়। র‍্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোঃ রকি মিয়া পিতা মোঃ মাহাবুব সাং করিমপাড়া, থানা- গাবতলী, জেলা- বগুড়া একই গ্রামের মোঃ মোনারুল ইসলাম এর মেয়ে ভিকটিম মোছাঃমিম আক্তারকে বেশ কিছুদিন ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে উত্তপ্ত করে আসছিল।এরইমধ্যে গত ১৩ জুন রাত্রি আনুমানিক ১০টার দিকে একই পাড়াস্হ তার বান্ধবী মোছাঃ চাঁদনী আক্তারের বাসয় রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যে রওনা করিলে আসামী মোঃ রকি মিয়া এর বসত বাড়ির উঠান অতিক্রম করার সময় তাকে একা পেয়ে পিছন থেকে ভিকটিমের মুখ বেঁধে আটকে রেখে একাধিক বার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে ভিকটিম শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে রকি মিয়া ভিকটিমকে তার শয়ন কক্ষের বাহিরে বের করে দেয়। উক্ত ঘটনাটি আশপাশের লোকজন জেনে গেলে আসামীগণ ভিকটিমের পরিবারকে মামলা না করার জন্য হুমকি এবং চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।পরবর্তীতে ভিকটিমের চাচী বাদি হয়ে গাবতলী মডেল থানায় ২জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনেএকটি ধর্যণ মামলা দায়ের করে।
উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে র‍্যাব-১২, বগুড়া আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়া জেলা সদর থানাধীন মালতীনগর শান্তিবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পালাতক আসামী রকি মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
র‍্যাব-১২, বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ জানান,গ্রেফতারকৃত আসামী রকি মিয়ার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়ার গাবতলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।