Dhaka ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় অপহরণ চক্রের মূল হোতা ও তার সহযোগী গ্রেফতার

সুশান্ত মালাকার নিজস্ব প্রতিনিধিঃ=
  • আপডেট ০৮:০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • / ৮৭ বার পঠিত হয়েছে

গত ১৫ জুন বিকালে ভিকটিম গোলাম রব্বানী প্রভাষক(অবঃ)সরকারি কমরউদ্দিন ইসলামিয়া কলেজ। রিয়া নামে ছাত্রী পরিচয় দিয়ে একটি মেয়ে ভিকটিমকে সরকারি আজিজুল হক কলেজের গেটে আসতে বললে তিনি সেখানে যাওয়া পরে মোছাঃ কনিকা(২২),স্বামীঃ মোঃ শাহাদাত এর বাড়িতে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেখানে উপস্থিত ৪-৫ জন অজ্ঞাতনামা পুরুষ তাদের হাতে থাকা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার হুমকি প্রদর্শন পূর্বক তাহার পকেটে থাকা নগদ ৩৫০০/-টাকা বের করে নেয় ও আসামীগণ পরস্পর যোগসাযসে ভিকটিমকে অপহরণ পূর্বক ভিকটিমের মুক্তির জন্য তাহার পরিবারের নিকট থেকে সর্বমোট ৩৮০০০/-টাকা বিকাশে নেয় ও তার ব্যবহৃত র্স্মাট মোবাইল ফোনটি নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দিলে তিনি অটোরিক্সা যোগে বাসায় চলে আসেন। তিনি নিজে বাদী হয়ে বগুড়া জেলার সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা প্রেক্ষিতে গত রবিবার ২২ জুন র‌্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে,বগুড়া শহরের খান্দার পাড়া এলাকার গোহাইল রোডের পাসপোর্ট অফিসের সামনে থেকে তদন্ত প্রাপ্ত আসামী মোছাঃ রাবেয়া রিয়া (২০) ও মানিক চন্দ্র সরকার (৪৫) অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে আসামীদের গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত রবিবার ২২ জুন র‌্যাব-১২, সিপিএসসি বগুড়া এর একটি চৌকষ আভিযানিক দল খান্দার এলাকার গোহাইল রোডের পাসপোর্ট অফিসের সামনে হতে অভিযান পরিচালনা করে তদন্তে প্রাপ্ত আসামি মোছাঃ রাবেয়া রিয়া (২০) পিতাঃ মোঃ মাজেদ আলী, সাং নগরপাড়া,থানা দুপচাঁচিয়া ও মানিক চন্দ্র সরকার (৪৫), পিতাঃ বিরেন চন্দ্র সরকার, সাং পাকুরিয়া, শিবগঞ্জ। ৩টি বাটন মোবাইল ফোন, ১টি স্মার্ট ফোন,৪টি সিম এবং ১টি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সাসহ গ্রেফতার করা হয়। আসামীদেরকে প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে,তারা সঙ্গবদ্ধ অপহরণ চক্রের সাথে জড়িত। দীর্ঘদিন যাবত সুপরিকল্পিত ভাবে অপহরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তারা প্রভাশালী ব্যক্তিদের টার্গেট করে অপহরণের মাধ্যমে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। অবশেষে তাদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে এবং পালাতক আসামীদের গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা তৎপরতা চলমান আছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে৷

সম্পর্কিত

পোস্টটি শেয়ার করুন

বগুড়ায় অপহরণ চক্রের মূল হোতা ও তার সহযোগী গ্রেফতার

আপডেট ০৮:০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

গত ১৫ জুন বিকালে ভিকটিম গোলাম রব্বানী প্রভাষক(অবঃ)সরকারি কমরউদ্দিন ইসলামিয়া কলেজ। রিয়া নামে ছাত্রী পরিচয় দিয়ে একটি মেয়ে ভিকটিমকে সরকারি আজিজুল হক কলেজের গেটে আসতে বললে তিনি সেখানে যাওয়া পরে মোছাঃ কনিকা(২২),স্বামীঃ মোঃ শাহাদাত এর বাড়িতে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেখানে উপস্থিত ৪-৫ জন অজ্ঞাতনামা পুরুষ তাদের হাতে থাকা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার হুমকি প্রদর্শন পূর্বক তাহার পকেটে থাকা নগদ ৩৫০০/-টাকা বের করে নেয় ও আসামীগণ পরস্পর যোগসাযসে ভিকটিমকে অপহরণ পূর্বক ভিকটিমের মুক্তির জন্য তাহার পরিবারের নিকট থেকে সর্বমোট ৩৮০০০/-টাকা বিকাশে নেয় ও তার ব্যবহৃত র্স্মাট মোবাইল ফোনটি নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দিলে তিনি অটোরিক্সা যোগে বাসায় চলে আসেন। তিনি নিজে বাদী হয়ে বগুড়া জেলার সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা প্রেক্ষিতে গত রবিবার ২২ জুন র‌্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে,বগুড়া শহরের খান্দার পাড়া এলাকার গোহাইল রোডের পাসপোর্ট অফিসের সামনে থেকে তদন্ত প্রাপ্ত আসামী মোছাঃ রাবেয়া রিয়া (২০) ও মানিক চন্দ্র সরকার (৪৫) অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে আসামীদের গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত রবিবার ২২ জুন র‌্যাব-১২, সিপিএসসি বগুড়া এর একটি চৌকষ আভিযানিক দল খান্দার এলাকার গোহাইল রোডের পাসপোর্ট অফিসের সামনে হতে অভিযান পরিচালনা করে তদন্তে প্রাপ্ত আসামি মোছাঃ রাবেয়া রিয়া (২০) পিতাঃ মোঃ মাজেদ আলী, সাং নগরপাড়া,থানা দুপচাঁচিয়া ও মানিক চন্দ্র সরকার (৪৫), পিতাঃ বিরেন চন্দ্র সরকার, সাং পাকুরিয়া, শিবগঞ্জ। ৩টি বাটন মোবাইল ফোন, ১টি স্মার্ট ফোন,৪টি সিম এবং ১টি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সাসহ গ্রেফতার করা হয়। আসামীদেরকে প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে,তারা সঙ্গবদ্ধ অপহরণ চক্রের সাথে জড়িত। দীর্ঘদিন যাবত সুপরিকল্পিত ভাবে অপহরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তারা প্রভাশালী ব্যক্তিদের টার্গেট করে অপহরণের মাধ্যমে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। অবশেষে তাদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে এবং পালাতক আসামীদের গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা তৎপরতা চলমান আছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে৷