Dhaka ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচন্ড রোদ আর গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ, সেইসঙ্গে প্রাণীকুল অস্থির

সুশান্ত মালাকার নিজস্ব প্রতিনিধিঃ=
  • আপডেট ০৬:৪৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • / ৮৩ বার পঠিত হয়েছে

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় প্রচণ্ড গরম ও তীব্র রোদে জনজীবন রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের প্রখরতাও বাড়তে থাকে। গরমের কারণে দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অনেকেই কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে দুপচাঁচিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র গরমে মানুষের পাশাপাশি প্রাণিকুলও ব্যাকুল হয়ে পড়েছে।
এদিকে, সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষের জীবন পুরোপুরিভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়া আর প্রচণ্ড রোদে ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে কাজ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের। ভ্যান-রিকশাচালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় চলাচল ও ফসলি মাঠে লোকজনের কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। এর পরও খেটে খাওয়া মানুষগুলো জীবন জীবিকার তাগিদে ও জরুরি প্রয়োজনে প্রচণ্ড গরমকে উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। অনেক পথচারী ছাতা মাথায় দিয়ে চলাচল করছেন।
দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা বলেন, রোদের তেজের কারণে গরমে কাজ করতে পারছি না। গত বেশকিছু দিন যাবৎ প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এ অবস্থা থাকলে গরমে ধান কাটা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
উপজেলার কইল গ্রামের অনেকেই বলেন, গরম সহ্য করতে না পেরে শিশুসহ বয়সীরা দিনে ২ থেকে ৩ বার গোসল করছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. এইচ সি, কর্মকার (সুদীপ) বলেন, এই গরমে নানা বয়সীদের জ্বর, ঠান্ডা-কাশি ও পাতলা পায়খানাসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করতে হবে এবং তরল জাতীয় খাবার খেতে পরামর্শ দেন, সেই সঙ্গে বেশি বেশি পানি পান করার পরামর্শও দেন তিনি। তাছাড়া আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

সম্পর্কিত

পোস্টটি শেয়ার করুন

প্রচন্ড রোদ আর গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ, সেইসঙ্গে প্রাণীকুল অস্থির

আপডেট ০৬:৪৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় প্রচণ্ড গরম ও তীব্র রোদে জনজীবন রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের প্রখরতাও বাড়তে থাকে। গরমের কারণে দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অনেকেই কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে দুপচাঁচিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র গরমে মানুষের পাশাপাশি প্রাণিকুলও ব্যাকুল হয়ে পড়েছে।
এদিকে, সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষের জীবন পুরোপুরিভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়া আর প্রচণ্ড রোদে ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে কাজ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের। ভ্যান-রিকশাচালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় চলাচল ও ফসলি মাঠে লোকজনের কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। এর পরও খেটে খাওয়া মানুষগুলো জীবন জীবিকার তাগিদে ও জরুরি প্রয়োজনে প্রচণ্ড গরমকে উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। অনেক পথচারী ছাতা মাথায় দিয়ে চলাচল করছেন।
দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা বলেন, রোদের তেজের কারণে গরমে কাজ করতে পারছি না। গত বেশকিছু দিন যাবৎ প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এ অবস্থা থাকলে গরমে ধান কাটা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
উপজেলার কইল গ্রামের অনেকেই বলেন, গরম সহ্য করতে না পেরে শিশুসহ বয়সীরা দিনে ২ থেকে ৩ বার গোসল করছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. এইচ সি, কর্মকার (সুদীপ) বলেন, এই গরমে নানা বয়সীদের জ্বর, ঠান্ডা-কাশি ও পাতলা পায়খানাসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করতে হবে এবং তরল জাতীয় খাবার খেতে পরামর্শ দেন, সেই সঙ্গে বেশি বেশি পানি পান করার পরামর্শও দেন তিনি। তাছাড়া আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।