Dhaka ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্ষক তাদের কর্মী নয় দাবি জামায়াতের

ওবায়দুর রহমান মাগুরা জেলা প্রতিনিধি।
  • আপডেট ০২:০৬:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • / ৫১ বার পঠিত হয়েছে

মাগুরায় খাবার হোটেলে কাজ করা কর্মীকে বেতন দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে হোটেল মালিক।ভুক্তভোগী ঐ নারী জানান,১১ জুলাই শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামন খবার হোটেলে ২দিনের কাজের ৬শো টাকা আনতে গেলে,হোটেল মালিক হারুন তাকে টাকা দেওয়ার কথা বলে দেকানের পিছনে নিয়ে যায়,সেখানে একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে সে দরজা বন্ধ করে দিয়ে,আমাকে জড়িয়ে ধরে। আমি তার কাছ থেকে ছোটার জন্য চেষ্টা করলে সে আমাকে মারপিট করে,এতে আমার হাতে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লেগে কেঁটে এবং দাগ হয়ে যায়।সে আমাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।ধর্ষণ শেষে সে আমাকে মেরে ফেলার জন্য ঐ ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রাখে।আমি তার হাতে পায়ে ধরে অনেক আকুতি মিনতি,কান্নাকাটি করে,জীবন ভিক্ষা চেয়ে,এটা কাউকে কোনো দিন বলবো না বলে কথা দিলে সে আমাকে ছেড়ে দেয়।হারুনের বাড়ী ধোয়াইল পাচুড়িয়া গ্রামে।ভুক্তভোগী ওই নারী মহম্মদপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে হোটেল মালিক হারুনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনা জানাজানির পর সোস্যালমিডিয়ায় জামায়াতে একটি প্রোগ্রামে জেলা আমীরের সাথে হারুনের একটি ছবি মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে,যেটা নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ”জামায়াত কর্মীর কাছে হোটেল কর্মী ধর্ষণ”নিয়ে বিভিন্ন শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।আর এটা নিয়ে ইমেজ সংকটে পড়ে যায় বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামী,তাই মহম্মদপুর উপজেলা অফিসে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হোটেল মালিক হারুন তাদের কোন কর্মী না বলে জানান জামায়াতের মহম্মদপুর উপজেলা আমীর মাওলানা নুর আহম্মাদ।

সম্পর্কিত

পোস্টটি শেয়ার করুন

ধর্ষক তাদের কর্মী নয় দাবি জামায়াতের

আপডেট ০২:০৬:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

মাগুরায় খাবার হোটেলে কাজ করা কর্মীকে বেতন দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে হোটেল মালিক।ভুক্তভোগী ঐ নারী জানান,১১ জুলাই শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামন খবার হোটেলে ২দিনের কাজের ৬শো টাকা আনতে গেলে,হোটেল মালিক হারুন তাকে টাকা দেওয়ার কথা বলে দেকানের পিছনে নিয়ে যায়,সেখানে একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে সে দরজা বন্ধ করে দিয়ে,আমাকে জড়িয়ে ধরে। আমি তার কাছ থেকে ছোটার জন্য চেষ্টা করলে সে আমাকে মারপিট করে,এতে আমার হাতে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লেগে কেঁটে এবং দাগ হয়ে যায়।সে আমাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।ধর্ষণ শেষে সে আমাকে মেরে ফেলার জন্য ঐ ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রাখে।আমি তার হাতে পায়ে ধরে অনেক আকুতি মিনতি,কান্নাকাটি করে,জীবন ভিক্ষা চেয়ে,এটা কাউকে কোনো দিন বলবো না বলে কথা দিলে সে আমাকে ছেড়ে দেয়।হারুনের বাড়ী ধোয়াইল পাচুড়িয়া গ্রামে।ভুক্তভোগী ওই নারী মহম্মদপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে হোটেল মালিক হারুনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনা জানাজানির পর সোস্যালমিডিয়ায় জামায়াতে একটি প্রোগ্রামে জেলা আমীরের সাথে হারুনের একটি ছবি মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে,যেটা নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ”জামায়াত কর্মীর কাছে হোটেল কর্মী ধর্ষণ”নিয়ে বিভিন্ন শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।আর এটা নিয়ে ইমেজ সংকটে পড়ে যায় বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামী,তাই মহম্মদপুর উপজেলা অফিসে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হোটেল মালিক হারুন তাদের কোন কর্মী না বলে জানান জামায়াতের মহম্মদপুর উপজেলা আমীর মাওলানা নুর আহম্মাদ।