Dhaka ০৩:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিডনি ও পিত্তথলির পাথর গলাতে সহায়ক কিছু প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি

লেখক: মো: শোয়েব হোসেন
  • আপডেট ০২:৪৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
  • / ৪০ বার পঠিত হয়েছে

আজকের ব্যস্ত জীবনযাপন, পানিশূন্যতা, উচ্চ সোডিয়ামযুক্ত খাদ্যাভ্যাস ও অস্বাস্থ্যকর জীবনধারার ফলে কিডনি ও পিত্তথলির পাথর একটি সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। যদিও বড় বা জটিল পাথরের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য, তবুও কিছু প্রমাণিত প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে, যা ছোট পাথরের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।

নিচে কিছু নিরাপদ ও ঘরোয়া পদ্ধতি তুলে ধরা হলো, যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও রয়েছে:

🔸 ১. লেবু পানি থেরাপি
লেবুর রসে থাকা সাইট্রেট উপাদান ক্যালসিয়াম পাথর গঠনে বাধা দেয় এবং ছোট পাথর গলাতে সহায়তা করে।

👉 পরামর্শ: প্রতিদিন ২–৩ বার, ১টি লেবুর রস এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।

🔸 ২. শসার রস
শসা প্রাকৃতিক ডিউরেটিক হিসেবে কাজ করে। এটি কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।

👉 পরামর্শ: দিনে ১–২ বার এক গ্লাস করে শসার রস পান করুন।

🔸 ৩. তরমুজ
তরমুজে রয়েছে প্রায় ৯২% পানি, যা প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে পাথর বের করে দিতে সহায়তা করে।

👉 পরামর্শ: প্রতিদিন তরমুজ খেতে পারেন অথবা রস করে পান করতে পারেন।

🔸 ৪. পুনর্ণবা (Boerhavia diffusa)
এটি একটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ, যা প্রস্রাব বাড়াতে, ফোলাভাব কমাতে এবং কিডনি পরিষ্কারে কার্যকর।

👉 ব্যবহার: হারবাল সাপ্লিমেন্ট আকারে সহজলভ্য। নিয়মিত গ্রহণ করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।

🔸 ৫. ভুলেরার চা (Chanca Piedra – Phyllanthus niruri)
“স্টোন ব্রেকার” নামে পরিচিত এই ভেষজ উদ্ভিদ গবেষণায় প্রমাণিতভাবে কিডনির ছোট পাথর গলাতে সাহায্য করতে পারে।

👉 ব্যবহার: হারবাল দোকান ও অনলাইন ফার্মেসিতে চা বা ক্যাপসুল আকারে পাওয়া যায়।

💧 যা সবচেয়ে জরুরি – পর্যাপ্ত পানি পান করুন
পানিশূন্যতা পাথর গঠনের অন্যতম কারণ।
➡️ প্রতিদিন অন্তত: ৩–৪ লিটার বিশুদ্ধ পানি পান করুন।
এটি কিডনিকে সক্রিয় রাখে এবং পাথর গঠনে বাধা দেয়।

⚠️ সতর্কতামূলক পরামর্শ:
উপরে উল্লেখিত প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো ছোট পাথরের ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। তবে তীব্র ব্যথা, বড় পাথর, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া, বা সংক্রমণের ক্ষেত্রে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মো: শোয়েব হোসেন (গবেষক, বিশ্লেষক, শিক্ষক, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী)

সম্পর্কিত

পোস্টটি শেয়ার করুন

কিডনি ও পিত্তথলির পাথর গলাতে সহায়ক কিছু প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি

আপডেট ০২:৪৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

আজকের ব্যস্ত জীবনযাপন, পানিশূন্যতা, উচ্চ সোডিয়ামযুক্ত খাদ্যাভ্যাস ও অস্বাস্থ্যকর জীবনধারার ফলে কিডনি ও পিত্তথলির পাথর একটি সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। যদিও বড় বা জটিল পাথরের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য, তবুও কিছু প্রমাণিত প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে, যা ছোট পাথরের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।

নিচে কিছু নিরাপদ ও ঘরোয়া পদ্ধতি তুলে ধরা হলো, যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও রয়েছে:

🔸 ১. লেবু পানি থেরাপি
লেবুর রসে থাকা সাইট্রেট উপাদান ক্যালসিয়াম পাথর গঠনে বাধা দেয় এবং ছোট পাথর গলাতে সহায়তা করে।

👉 পরামর্শ: প্রতিদিন ২–৩ বার, ১টি লেবুর রস এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।

🔸 ২. শসার রস
শসা প্রাকৃতিক ডিউরেটিক হিসেবে কাজ করে। এটি কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।

👉 পরামর্শ: দিনে ১–২ বার এক গ্লাস করে শসার রস পান করুন।

🔸 ৩. তরমুজ
তরমুজে রয়েছে প্রায় ৯২% পানি, যা প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে পাথর বের করে দিতে সহায়তা করে।

👉 পরামর্শ: প্রতিদিন তরমুজ খেতে পারেন অথবা রস করে পান করতে পারেন।

🔸 ৪. পুনর্ণবা (Boerhavia diffusa)
এটি একটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ, যা প্রস্রাব বাড়াতে, ফোলাভাব কমাতে এবং কিডনি পরিষ্কারে কার্যকর।

👉 ব্যবহার: হারবাল সাপ্লিমেন্ট আকারে সহজলভ্য। নিয়মিত গ্রহণ করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।

🔸 ৫. ভুলেরার চা (Chanca Piedra – Phyllanthus niruri)
“স্টোন ব্রেকার” নামে পরিচিত এই ভেষজ উদ্ভিদ গবেষণায় প্রমাণিতভাবে কিডনির ছোট পাথর গলাতে সাহায্য করতে পারে।

👉 ব্যবহার: হারবাল দোকান ও অনলাইন ফার্মেসিতে চা বা ক্যাপসুল আকারে পাওয়া যায়।

💧 যা সবচেয়ে জরুরি – পর্যাপ্ত পানি পান করুন
পানিশূন্যতা পাথর গঠনের অন্যতম কারণ।
➡️ প্রতিদিন অন্তত: ৩–৪ লিটার বিশুদ্ধ পানি পান করুন।
এটি কিডনিকে সক্রিয় রাখে এবং পাথর গঠনে বাধা দেয়।

⚠️ সতর্কতামূলক পরামর্শ:
উপরে উল্লেখিত প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো ছোট পাথরের ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। তবে তীব্র ব্যথা, বড় পাথর, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া, বা সংক্রমণের ক্ষেত্রে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মো: শোয়েব হোসেন (গবেষক, বিশ্লেষক, শিক্ষক, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী)