Dhaka ০৮:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালাইয়ে উপবৃত্তি অর্থ প্রতারনার পর এবারে চাহিদা পাঠানোর পূর্বের মোবাইল নম্বর হ্যাক

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট ১০:২৩:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / ১৬৭ বার পঠিত হয়েছে

জয়পুরহাটের কালাইয়ে ইতোপূর্বে উপবৃত্তির সুবিধাভোগীর নগদ  মোবাইল একাউন্ট হ্যাক করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারক চক্র হাতিয়ে নেবার পর এবারে চাহিদা পাঠানোর পূর্বেই উপবৃত্তি সুবিধাভোগীর নগদ মোবাইল একাউন্ট হ্যাক হওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। এতে করে অভিভাবক, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত ২০২৪ সালের  জুলাই-ডিসেম্বর জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার ২৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৬৭টি সুবিধাভোগীট মোবাইল নগদ একাউন্ট হ্যাক হওয়ার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারক চক্র হাতিয়ে নেয়। এবিষয়ে তদন্ত পরিচালনা হলেও পরিবর্তিত হয়ে যাওয়া মোবাইল নম্বর বিষয়ে কিংবা লোপাটকৃত টাকা উদ্ধারে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। বরং চাকুরি থেকে  সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এমন নাজুক পরিস্থিতিতে চলতি বছরের জানুয়ারি- জুন/২৫ উপবৃত্তি সুবিধাভোগীর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করে বিদ্যালয় পর্যায় থেকে অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারে প্রেরণ অন্তে অনুমোদিত হওয়ার পর বিদ্যালয় থেকে চাহিদা পাঠানোর সময় বহু উপবৃত্তি সুবিধাভোগীর নগদ মোবাইল একাউন্ট পরিবর্তন  হওয়ার বিষয়টি নতুন করে পরিলক্ষিত হয়। এক্ষেত্রে,  বিগত চক্রের ভুক্তভোগী স্কুল ছাড়াও নতুন  করে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হ্যাকারের কবলে পড়েছে।

এতে করে অভিভাবকমহল,শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর বেশ উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন। এবার নতুন করে হ্যাকিংয়ের কবলে পড়া কালাই  উপজেলার মাদাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মজিদ নগদ এবং সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং বিশ্বস্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন,’বিদ্যালয় পর্যায়ে সুবিধাভোগীর তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি দেবার সময় সুবিধাভোগীর জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে মোবাইল সিম উত্তোলন এবং নগদ একাউন্ট খোলা না থাকলে যেখানে তথ্য এন্ট্রি হয়না, সেখানে সুবিধাভোগীর জাতীয় পরিচয় পত্র ঠিক রেখে হ্যাকারদের মোবাইল নম্বর যুক্ত হয় কি করে, তা  রীতিমতো ভেলকিবাজির মতো! তাই, হ্যাকার অনুসন্ধানের পাশাপাশি চলমান সফটওয়্যার-এর কোন ক্লোনিং বা অনুকৃতি/ডুপ্লিকেট  সফটওয়্যার রয়েছে কি না তার নিবিড় অনুসন্ধান দরকার।’ এবিষয়ে কালাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার ভারপ্রাপ্ত মোঃ রাশেদুল আলম এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন আমিও শুনেছি নতুন করে জানুআরি- জুন/২৫ সালের শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মোবাইল হ্যাক করেছে প্রতারক চক্র। আমি বিষয়টি উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষ কে জানিয়েছি।

সম্পর্কিত

পোস্টটি শেয়ার করুন

কালাইয়ে উপবৃত্তি অর্থ প্রতারনার পর এবারে চাহিদা পাঠানোর পূর্বের মোবাইল নম্বর হ্যাক

আপডেট ১০:২৩:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

জয়পুরহাটের কালাইয়ে ইতোপূর্বে উপবৃত্তির সুবিধাভোগীর নগদ  মোবাইল একাউন্ট হ্যাক করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারক চক্র হাতিয়ে নেবার পর এবারে চাহিদা পাঠানোর পূর্বেই উপবৃত্তি সুবিধাভোগীর নগদ মোবাইল একাউন্ট হ্যাক হওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। এতে করে অভিভাবক, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত ২০২৪ সালের  জুলাই-ডিসেম্বর জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার ২৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৬৭টি সুবিধাভোগীট মোবাইল নগদ একাউন্ট হ্যাক হওয়ার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারক চক্র হাতিয়ে নেয়। এবিষয়ে তদন্ত পরিচালনা হলেও পরিবর্তিত হয়ে যাওয়া মোবাইল নম্বর বিষয়ে কিংবা লোপাটকৃত টাকা উদ্ধারে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। বরং চাকুরি থেকে  সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এমন নাজুক পরিস্থিতিতে চলতি বছরের জানুয়ারি- জুন/২৫ উপবৃত্তি সুবিধাভোগীর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করে বিদ্যালয় পর্যায় থেকে অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারে প্রেরণ অন্তে অনুমোদিত হওয়ার পর বিদ্যালয় থেকে চাহিদা পাঠানোর সময় বহু উপবৃত্তি সুবিধাভোগীর নগদ মোবাইল একাউন্ট পরিবর্তন  হওয়ার বিষয়টি নতুন করে পরিলক্ষিত হয়। এক্ষেত্রে,  বিগত চক্রের ভুক্তভোগী স্কুল ছাড়াও নতুন  করে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হ্যাকারের কবলে পড়েছে।

এতে করে অভিভাবকমহল,শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর বেশ উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন। এবার নতুন করে হ্যাকিংয়ের কবলে পড়া কালাই  উপজেলার মাদাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মজিদ নগদ এবং সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং বিশ্বস্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন,’বিদ্যালয় পর্যায়ে সুবিধাভোগীর তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি দেবার সময় সুবিধাভোগীর জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে মোবাইল সিম উত্তোলন এবং নগদ একাউন্ট খোলা না থাকলে যেখানে তথ্য এন্ট্রি হয়না, সেখানে সুবিধাভোগীর জাতীয় পরিচয় পত্র ঠিক রেখে হ্যাকারদের মোবাইল নম্বর যুক্ত হয় কি করে, তা  রীতিমতো ভেলকিবাজির মতো! তাই, হ্যাকার অনুসন্ধানের পাশাপাশি চলমান সফটওয়্যার-এর কোন ক্লোনিং বা অনুকৃতি/ডুপ্লিকেট  সফটওয়্যার রয়েছে কি না তার নিবিড় অনুসন্ধান দরকার।’ এবিষয়ে কালাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার ভারপ্রাপ্ত মোঃ রাশেদুল আলম এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন আমিও শুনেছি নতুন করে জানুআরি- জুন/২৫ সালের শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মোবাইল হ্যাক করেছে প্রতারক চক্র। আমি বিষয়টি উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষ কে জানিয়েছি।