কাঠ ও বাঁশের সাঁকো: গ্রামবাসীর মরণফাঁদ

- আপডেট ০৪:২৭:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
- / ১০৪ বার পঠিত হয়েছে
জয়পুরহাটের কালাইয়ে একটি রাস্তা সরকারি পুকুরে বিলীন হওয়ায় কাঠ ও বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটি গ্রামের শতাধিক পরিবার দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করছেন। রাস্তাটি পুনর্নিমাণের জন্য গ্রামবাসী একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও কোন ফল পায়নি। ফলে নিরুপায় গ্রামবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবেই চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। এ অবস্থায় ঐ সরকারি পুকুরটি ভরাট করে রাস্তাটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।
জানা গেছে. কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের সাঁতার পূর্বপাড়া গ্রামের মাগুড়া গাড়ি নামক প্রায় দুই বিঘা আয়তনের একটি খাস পুকুর সরকারিভাবে ইজারা দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষের ফলে গ্রামবাসীর চলাচলের পূরনো একমাত্র রাস্তাটি ওই পুকুর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে উপকার না পাওয়ায় আট মাস আগে গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে প্রায় এক লক্ষ টাকা খরচ করে টানা তিন ধরে কাঠ ও বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। এখনও ঝুঁকি নিয়ে ওই সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করছেন।
সরেজমিনে, সাতার গ্রামের ইউনুস, আব্দুল আজিজ, বুলবুল গাফফার, কালামসহ অন্তত ১২ জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জীবন ও জীবিকার তাগিদে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিদিন তাদের এই পথে চলাচল করতে হয়-যা তাদের জন্য অত্যন্ত আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এ দুর্ভোগের শিকার। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং প্রসূতি মহিলাদের দুর্ভোগ বেশি।
ইউসুফ আলী জানান, তাঁর ছয় বছরের মেয়ে সাড়াবান তহুড়া ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে ইতিপূর্বে তিন বার পুকুরে পড়ে যায়। এলাকাবাসীর নজরে পড়ায় মেয়েটি তিন বারই প্রাণে বেঁচে যায়। ফলে সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়ে সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয়। আলতাফুন্নেসা, ফেরদৌস হোসেনসহ অনেকে অনুরূপ মন্তব্য করেন।
একাব্বর হোসেন (৭৫) জানান, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে যান না তিনি। গ্রামের বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে বাঁশের সাঁকোর কথা মনে পড়লেই ভয় কাজ করে তাঁর।
কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিমা আক্তার জাহান জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। দ্রুত পরির্দশন শেষে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।