“উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনার পর ভবিষ্যতে রোগ ঝুঁকি: এখনই সচেতন হই, বাঁচাই প্রাণ”!

- আপডেট ০৫:৩৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
- / ৬৭ বার পঠিত হয়েছে
✍️ প্রতিবেদন:
সম্প্রতি উত্তরার মাইলস্টোন কলেজ এলাকায় একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় বহু শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয় জনগণ মানসিক ও শারীরিকভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে প্রচণ্ড শব্দ, আগুন, বিষাক্ত ধোঁয়া ও জ্বালানির বিস্ফোরণ শুধু ভয়াবহতা সৃষ্টি করেনি, বরং ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরির আশঙ্কাও রেখে গেছে।
☠️ কী ঘটেছিল – এবং কী ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে?
🎯 প্রধান ঝুঁকির উৎস:
বিমান জ্বালানির (Jet Fuel) বিস্ফোরণ।
প্লাস্টিক, কেমিক্যাল, রঙ, রাবার, ইলেকট্রনিক্স পোড়ার ধোঁয়া।
ভবনের ধ্বংসাবশেষে থাকা অ্যাসবেস্টস, সিসা, টক্সিক ফাইবার।
বিষাক্ত গ্যাস (Benzene, Dioxin) বাতাসে ছড়িয়ে পড়া।
⚠️ সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ রোগসমূহ:
Jet Fuel ধোঁয়া—ফুসফুসের রোগ, অ্যাজমা, লাং ক্যান্সার।
পোড়া প্লাস্টিক ও রঙ—চর্মরোগ, চোখে জ্বালা, নার্ভ দুর্বলতা।
অ্যাসবেস্টস ও সিসা— Mesothelioma (ফুসফুসের ক্যান্সার), স্নায়ু ক্ষতি।
Benzene ও ডিওক্সিন— রক্তের ক্যান্সার (Leukemia), হরমোন ভারসাম্যহীনতা।
বিষাক্ত ধূলিকণা—দীর্ঘমেয়াদি কাশি, ফুসফুস দুর্বলতা ইত্যাদি।
📢 এখনই যা করা উচিত:
✅ জরুরি পদক্ষেপ:
পরিবেশ বিশ্লেষণ – বাতাস, পানি ও মাটির নমুনা পরীক্ষা।
স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং ক্যাম্প – ব্লাড টেস্ট, ফুসফুস পরীক্ষা, ত্বক/চোখ পরীক্ষা।
মানসিক সহায়তা সেশন – ট্রমা রিলিজ, ভয় দূর করার সেশন।
বিশেষ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন – ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রদের তালিকা করে নজরদারি।
🩺 কীভাবে ও কতদিন চিকিৎসা ও সতর্কতা বজায় রাখতে হবে?
সময় কাল অনুযায়ী করণীয় —
প্রথম ৭ দিন– চোখ, গলা, ত্বক, শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসা নেয়া জরুরি।
প্রথম ৩ মাস– প্রতিমাসে ১ বার করে ফুসফুস/রক্ত পরীক্ষা।
৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত — মনো-সাপোর্ট, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, দূষণ, পরীক্ষার রিপোর্ট, ফলোআপ।
🤝 যে সংস্থাগুলো এগিয়ে আসতে পারে:
🏛️ সরকারি:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (DGHS)
শিক্ষা মন্ত্রণালয়
জেলা প্রশাসন
পরিবেশ অধিদপ্তর
🧬 বেসরকারি/NGO/CSR:
BRAC Health
Red Crescent Society
UNICEF / Save the Children
Beximco / ACI / Dutch-Bangla CSR
ICDDR,B বা BCSIR
📣 আমাদের আহ্বান:
আমরা চাই, সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা এখনই একসঙ্গে এগিয়ে এসে—
স্কুল ক্যাম্পাস পরীক্ষা করুক,
স্বাস্থ্য ক্যাম্প আয়োজন করুক ও
ছাত্রদের দীর্ঘমেয়াদী মানসিক ও শারীরিক সহায়তা দিক।
✋ আমাদের করণীয় (অভিভাবক/শিক্ষক/স্থানীয় জনগণ):
সন্তানদের মাঝে কোন শারীরিক বা মানসিক অস্বাভাবিকতা দেখলে গুরুত্ব দিন।
স্কুল প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখুন।
শিশুদের নিরাপত্তা ও আত্মবিশ্বাস ফেরাতে বিভিন্ন থেরাপি ও সহানুভূতির চর্চা করুন।
✍️ প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী:
মো: শোয়েব হোসেন
গবেষক – (সাউন্ড ও মিউজিক থেরাপি)
মানবাধিকার কর্মী ও চিন্তাবিদ।